-
- কিশোরগঞ্জ বার্তা
- স্বাধীনতা পদকের দাবি নিয়ে একজন রেজাউল হাবিব রেজাঃ ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের ছকাবলী।
- Update Time : জুন, ২৬, ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
- 198 View

বার্তা সম্পাদক ( ভোরের আলো বিডি ) ঃ কিশোরগঞ্জের অন্যতম সাহিত্য সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এক জনপ্রিয় সাহিত্য সংগঠন হচ্ছে ”ভোরের আলো সাহিত্য আসর”। যার প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবিব রেজা। রেজাউল হাবিব রেজা একজন সাহসী মানুষ। একজন বলিষ্ট সংগঠক। একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকের সন্তান। তার প্রতিষ্ঠিত অনেক সংগঠনের মধ্যে অল্প কিছু সংগঠনের নাম আমাদের চোখে পরে।
যেমন, নিজ গ্রাম ভিত্তিক –
১। সতেরদরিয়া ‘’সানলাইট এন্ড মুনলাইট’’ পরিষদ, করিমগঞ্জ ।
২। তানযীমূল ইসলাম ছাত্রফান্ড, করিমগঞ্জ ।
৩। সতেরদরিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদ, করিমগঞ্জ ।
৪। সতেরদরিয়া সামাদ স্মৃতি সংসদ, করিমগঞ্জ ।
৫। সতেরদরিয়া সেবা সংঘ, করিমগঞ্জ ।
ইউনিয়ন ভিত্তিক –
১। ১ নং কাদিরজঙ্গল তানযীমূল মসজিদ ( মসজিদ ওয়ারী অরাজনৈতিক সংগঠন ) করিমগঞ্জ ।
২। কাদিরজঙ্গল তানযীম যুব কাফেলা, করিমগঞ্জ ।
৩। কাদিরজঙ্গল তানযীম সাহিত্য কাফেলা, করিমগঞ্জ ।
৪। দিন বদল উজ্জীবক সমিতি, করিমগঞ্জ ।
৫। কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরাম, করিমগঞ্জ ।
উপজেলা ভিত্তিক –
১। করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি ( কইঐসক ) করিমগঞ্জ।
২। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, করিমগঞ্জ ইউনিট ।
৩। আলোর মেলা পাঠক ফোরাম, করিমগঞ্জ ।
জেলা ভিত্তিক –
১। ভোরের আলো সাহিত্য আসর, কিশোরগঞ্জ ।
২। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিট ।
৩। কিশোরগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ, কিশোরগঞ্জ ।
৪। তানযীম সাহিত্য কাফেলা, কিশোরগঞ্জ ।
৫। কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি, কিশোরগঞ্জ ।
বিশেষ অঞ্চল ভিত্তিক –
১। নীলগঞ্জ সাহিত্য গোষ্ঠি, নীলগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ ।
২। জঙ্গলবাড়ি সাংস্কৃতিক ফোরাম, করিমগঞ্জ ।
ঢাকা রাজধানী ভিত্তিক –
১। ঢাকাস্থ করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি, ঢাকা ।
জাতীয় ভিত্তিক –
১। বাংলাদেশ লিমেরিক ফোরাম, ঢাকা ।
অনেক বইয়ের সম্পাদক রেজাউল হাবিব রেজা, তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে –
১। নবতরঙ্গ ।
২। প্রতিধ্বনি ।
৩। নীল কন্ঠ ।
৪। সাপ্তাহিক শুরুক ।
৫। সাপ্তাহিক কিশোরগঞ্জ বার্তা ।
৬। ভোরের আলো সাহিত্য সংকলন ।
কয়েকটি পুরস্কার / সম্মানিত হয়েছেন রেজাউল হাবিব রেজা,যেমন –
১। নীলগঞ্জ হাজী মোমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়াকালীন ‘’ নীলগঞ্জ একুশ উদযাপন কমিটি কর্তৃক’’ একুশে ফেব্রুয়ারি প্রবন্ধে প্রথম ( ১৯৭৯ ) । একই প্রতিষ্ঠানে ৮ম শ্রেণীতে থাকাকালীন ‘’বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি কর্তৃক’’ কবিতা প্রথম ( ১৯৮০ ) ।
২। কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন ুপলক্ষে আরবী উচ্চারণে প্রথম ( ১৯৮১ ) ।
৩। ১৯৮৪ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালীন ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রবন্ধে প্রথম ।
৪। ১৯৯৯ সালে করিমগঞ্জ থানায় ডি এস কে এর উপ আনুষ্ঠানিক গনশিক্ষায় ৪৫০টি স্কুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন ও পুরস্কার লাভ।
৫। ২০০৩ সালে ঢাকা ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটিতে কবি নজরুলের ওপর ছড়া লিখে ১ম পুরস্কার ।
৬। ২০০৮ সালে সাংবাদিকতায় জাতীয় পর্যায়ে ব্র্যাকমিডিয়া কর্তৃক পুরস্কার লাভ ।
৭। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকিরের হাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পুরস্কার লাভ ।
যাদের দ্বারা রেজাউল হাবিব রেজা সংবর্ধিত হয়েছেন –
১। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ।
২। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, করিমগঞ্জ ইউনিট ।
৩। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, কিশোরগঞ্জ ।
৪। নেজারত শাখার ডেপুটি কালেক্টরেট ( এন ডি সি ) আহসান হাবিব, কিশোরগঞ্জ ।
৫। করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি, করিমগঞ্জ।
৬। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনাব মোঃ আতিকুর রহমান ।
৭। ভোরের আলো সাহিত্য আসর, কিশোরগঞ্জ ।
৮। কিশোরগঞ্জ জেলা মাদক বিরোধী আন্দোলন, কিশোরগঞ্জ ।
৯। মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি, কিশোরগঞ্জ সদর ।
১০। জঙ্গলবাড়ি ঈসাখাঁ স্মৃতি সাহিত্য সংঘ, করিমগঞ্জ ।
১১। জঙ্গলবাড়ি নামাপাড়া সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ, করিমগঞ্জ ।
১২। ময়মনসিংহ জেলা আনসার-ভিডিপি, মাধ্যম-কিশোরগঞ্জ আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, হাফিজুর রহমান ।
১৩। পিটুয়া পাপিয়া কিন্টারগার্ডেন স্কুল, করিমগঞ্জ ।
১৪। ঢাকাস্থ করিমগঞ্জ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি, ঢাকা ।
১৫। জেলা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ জনাব সুলতান উদ্দিন ।
১৬। ‘’সাপ্তাহিক এখন এর সম্পাদক আতাউস সামাদ ( প্রয়াত )
১৭। কিশোরগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ, কিশোরগঞ্জ ।
১৮। শুরুক সাহিত্য মজলিস, কিশোরগঞ্জ ।
১৯। ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন, করিমগঞ্জ শাখা ।
২০। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিট ।
২১। বাংলাদেশ ফার্মেসী ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ ইসহাক সিকদার বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ দবিরুল ইসলাম ।
২২। ব্র্যাকের সূবিধাভোগী সদস্যবৃন্দ ।
২৩। কুলিয়ারচর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইউনিট হতে সংবর্ধনাপ্রাপ্ত।
উপরোক্ত সংগঠন ছাড়াও অসংখ্য ছোট-বড় সংগঠন ও ব্যক্তি রেজাউল হাবিব রেজাকে অর্থ, ক্রেস্ট-মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেয়। তাঁদের সকলের প্রতি একজন রেজাউল হাবিব রেজা ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ ।
সামাজিক ও সাংগঠনিক ভূমিকা – বিবিধ –
১। করিমগঞ্জ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডাঃ আশরাফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক আতাউস সামাদ, অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনসহ প্রায় ডজনখানেক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে করিমগঞ্জ এনে রেজাউল হাবিব রেজা করিমগঞ্জ ইতিহাস রচনার সূচনা করেন ।
২। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, করিমগঞ্জ। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে প্রথম র্যালি বের করে রেজাউল হাবিব রেজা। কিশোরগঞ্জ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জেলা কমিটির সাধারণ হিসেবে সকল সাংবাদিক হত্যার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে রেজাউল হাবিব রেজা ।
৩। প্রতি বছর রেজাউল হাবিব রেজার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন সমূহের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেন নিজেই ।
৪। প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে সাংবাদিক প্রশিক্ষনের আয়োজন করে অভূতপূর্ব সাড়া জাগায় রেজাউল হাবিব রেজা ।
৫। ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট ও অন্য ৬ জন অসহায় মুক্তিযোদ্ধাকে অর্থ প্রদান করে ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধনা দেয় রেজাউল হাবিব রেজা। এতে একটি সংকলন সম্পাদনা করেন তিনি।
৬। কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষন কমিটি ও ঢাকাস্থ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ১৯৭১ সালের স্থানীয় দোসরদের বিরুদ্ধে ১০/১৫টি মানববন্ধন করে রেজাউল হাবিব রেজা ।
৭। রেজাউল হাবিব রেজা পরের হাতে হস্তগত হওয়ার উপক্রম সম্পত্তি করায়ত্ত্বে এনে প্রকৃত মালিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন- যা পারিবারিক ও গ্রাম পর্যায়ে ১০/১৫টি পরিবার ।
৮। বাংলাদেশ লিমেরিক ফোরাম এর সভাপতি হিসেবে জাতীয় লিমেরিকারদের সংগঠিত করতে মনোনিবেশ করেছেন রেজাউল হাবিব রেজা।
৯। ঔষদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আকুপ্রেসার পদ্ধতির প্রচারের আন্দোলনে রেজাউল হাবিব রেজা এখন ব্যস্ত আছেন, জীবন যাত্রা অব্যাহত রাখতে ৫/৬টি পরিবার রেজাউল হাবিব রেজার আকুপ্রেসার কর্মসূচীর ওপর নির্ভরশীল ।
বিশেষ রচনা –
রেজাউল হাবিব রেজা ১৯৯১ সালে ‘’রিমঝিক লিমেরিক’’ নামের একটি জাপানিজ পদ্ধতির ছড়াগ্রন্থ প্রকাশ করেন। তাছাড়া-বিভিন্ন ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন সাময়িকী দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। রেজাউল হাবিব রেজার প্রকাশিত সংবাদ সমূহের মধ্যে লাল সবুজের পতাকা ওড়েনি করিমগঞ্জ প্রেসক্লাবে ও হাওড় এলাকার তামসু বাহিনীর পতন সংবাদটি বিশেষভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে, ১৯৭১’র শহীদদের পরিবারের কান্নার সহমর্মিতায় দাঁড়াতে গিয়ে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় আনতে সকল প্রকার হামলা-মামলা-অপহরণ ও নিজ জমি বিক্রি করে সহায় সম্বল হারিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করে মোট ৯ ( নয় ) জন যুদ্ধঅপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে আন্তরিক সহযোগীতা করেছেন তিনি।
ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত ৯ ( নয় ) জন যুদ্ধঅপরাধীরা হচ্ছে –
১। গাজী আবদুল মান্নান – করিমগঞ্জ।
২। এ,টি,এম নাসির উদ্দিন – করিমগগঞ্জ।
৩। অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন – করিমগগঞ্জ।
৪। হাফিজ উদ্দিন – করিমগগঞ্জ।
৫। আজহারুল ইসলাম ( আমৃত্যু কারাদন্ড ) – করিমগগঞ্জ।
৬। সৈয়দ হাসান – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ( প্রকাশ হয়বতনগর ) সদর।
৭। সৈয়দ হোসাইন – ব্রাহ্মণবাড়িয়া ( প্রকাশ হয়বতনগর ) সদর।
৮। মোসলেম প্রধান – নিকলী।
৯। আমিনুল হক রজবআলী – অস্টগ্রাম। তারপরও যুদ্ধঅপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার আন্দোলন থেকে তাকে কেউ থামাতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত তার আন্দোলন অব্যাহত আছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে, তদন্ত সংস্থার দ্বাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত একটি স্মরণিকা বের হয় ৩০ মে ২০২২ খ্রিঃ। স্মরণিকার নাম – ”১৯৭১ আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত ও বিচার”। এই স্মরনিকাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখেছেন,পড়েছেন তারপর অনুমোদন দিয়েছেন। এই স্মরণিকায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র লেখক, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা, রেজাউল হাবিব রেজার একটি লেখা স্থান পেয়েছে।
রেজাউল হাবিব রেজা এই ভোরের আলো সাহিত্য আসরের পক্ষ থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে অর্থ প্রদান, অনেক হত-দরিদ্রদের মাঝে সেলাই মেশিন, ছাগল, রিকসা, নধদ অর্থ প্রদান করেছেন।
পরিশেষেঃ সর্বোপরি কিশোরগঞ্জ জেলায় রেজাউল হাবিব রেজা একজন বলিষ্ঠ সফল সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কী সাংবাদিক সংগঠন, কী সাহিত্যিক সংগঠন, কী সাংস্কৃতিক সংগঠন, কিংবা অনুরূপ বহু সংগঠনের জন্মদাতা রেজাউল হাবিব রেজা। তাঁর বিভিন্ন ক্ষেত্রে লেখালেখির জন্য সংবর্ধনা, ক্রেস্ট প্রাপ্তি, সার্টিফিকেট ও অভিনন্দনপত্র পেয়েছেন অসংখ্য। কিন্তু একজন সাহসী মানুষ, বলিষ্ট সংগঠক হিসেবে তার স্বীকৃতি সংবর্ধনা। একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকের যোগ্য উত্তরসূরী, একজন প্রজন্ম-৭১ হিসেবে একজন রেজাউল হাবিব রেজার সেটি পাওনা। সতেরদরিয়া থেকে করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ হয়ে ঢাকা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন সমূহ তার কাছে ঋণী। একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকের সন্তান, একজন সফল সংগঠক হিসেবে, স্বীকৃতি হিসেবে এটি তার সময়ের দাবী। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় ও জাতীয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এগিয়ে এসে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বিশেষ করে -মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সনের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদেরকে বিচারের আওতায় আনতে সকল প্রকার হামলা-মামলা-অপহরণ ও নিজ জমি বিক্রি করে সহায় সম্বল হারিয়ে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লড়াই করে যাবার সংগ্রাম অব্যাহত রাখায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রেজাউল হাবিব রেজাকে ”স্বাধীনতা পদক” কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবী জানান শহীদ লেফটেন্যান্ট আশফাকুস সামাদ বীর উত্তম স্মৃতি গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আবু সাঈদ। যার তালিকাভূক্তিকরণ সনদ নম্বর কিশোর – ৯০ ।
More News Of This Category
Leave a Reply